ভাত এবং রুটি, এই দুটি জিনিসই আমাদের খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এই দুটো থেকেই আমরা শক্তি পাই। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, রুটি এবং ভাতের মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?
তবে আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে সারা বিশ্বে ভাত সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়। রুটি সম্পূর্ণ গমের আটা বা অন্যান্য গোটা শস্যের আটা থেকে তৈরি করা যেতে পারে। ময়দার মতো চালও অনেক ধরনের পাওয়া যায়।
সাদা চাল এবং গমের রুটির মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য কী কী উপকারীতা রয়েছে তা এখানে দেয়া হল।
ভাত না রুটি, কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী?
ভাত ও রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় সমান, অর্থাৎ দুটোই খেলে প্রায় সমান ক্যালরি পাওয়া যায়। কিন্তু ডায়াবেটিসের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করার সময় ক্যালরির দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়। অতএব, আপনি দিনে কত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন সেদিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টিবিদরা বিশ্বাস করেন যে কার্বোহাইড্রেট খেলে ওজন বাড়ে না। শরীরে শক্তি বজায় রাখার পাশাপাশি তারা চর্বি হজম করতে সাহায্য করে। গোটা শস্য, বাদামী চাল এবং মসুর ডাল মেদ কমাতে সহায়ক। আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত ৬০ শতাংশ জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকা উচিত।
রুটি এবং ভাতে থাকা কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ
আমরা যদি রুটি এবং ভাতে ভালো এবং খারাপ কার্বোহাইড্রেটের কথা বলি, চাল পালিশ করার সময় ফাইবার সরে যায়। এতে খারাপ কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই বেশি ভাত খেলে শরীরে ইনসুলিন বাড়তে পারে। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে, ভাতে উপস্থিত অ্যামাইলোপেকটিন হজম করা সহজ এবং এটি শিশুদের জন্য একটি পছন্দের সহজপাচ্য উপাদান।
পাশাপাশি, ভাতের চেয়ে রুটিতে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। রুটিতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। প্রোটিনের সংখ্যা সম্পর্কে কথা বললে, উভয়ের মধ্যে প্রায় সমান পরিমাণ পাওয়া যায়।
ভাত বা রুটি, কোনটা-কখন খাবেন?
রুটি এবং ভাত দুটোই স্বাস্থ্যকর। এই দুটি থেকেই শরীর শক্তি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। তবে রুটি এবং ভাতের পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আধা বাটি ভাত এবং চারটি রুটি খাওয়া একটি ভাল বিকল্প। যেহেতু ভাতে উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, তাই এটি বেশি খেলে সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে।
0 Comments